আহলে হাদীস দুই প্রকার। যথা-১-খাঁটি আহলে হাদীস। ২-ভেজাল আহলে হাদীস।খাঁটি আহলে হাদীস হলেন সে সকল মুহাদ্দিসীনে কিরাম যারা হাদীসের উপর বিশেষজ্ঞ হন। তাদের আমরা নিজের মথার তাজ মনে করি। ইমাম বুখারী আহলে হাদীস আমরা মানি। ইমাম মুসলিম আহলে হাদীস আমরা মানি। ইমাম আবু হানীফা রহঃ আহলে হাদীস আমরা মনি। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহঃ আহলে হাদীস আমরা মানি। ইমাম শাফেয়ী রহঃ আহলে হাদীস আমরা মানি। কারণ ওনারা সবাই হাদীসের উপর বিশেষজ্ঞ ছিলেন। আর হাদীসের উপর বিশেষজ্ঞরা আহলে হাদীস একথা মানতে আমাদের কোন আপত্তি নেই।
কিন্তু ভেজাল আহলে হাদীস যারা দু’ একটি হাদীস জানে। তাও সনদের পূর্ণ বিবরণ ও রাবীদের অবস্থা ছাড়াই আমরা তাদের আহলে হাদীস মানি না। ওরা খাঁটি আহলে হাদীস নয়। ভেজাল ও ধোঁকাবাজ নামধারী আহলে হাদীস।
যুগযুগ ধরে হাদীস, উসূলে হাদীস, ফিক্বহ, উসূলে ফিক্বহ এবং হাদীসের ব্যাখ্যা ও হাদীসের বর্ণনাকারীদের ইতিহাসের কিতাব সমূহের ভাষ্য মতে, যারা হাদীসের সনদ ও মতন (বর্ণনাকারী ও মূল বিষয়) নিয়ে নিবেদিত থাকেন এবং হাদীস শরীফের সংরক্ষণ, হিফাযত, সঠিক বুঝ এর অনুসরণ-অনুকরণে নিজের মূল্যবান জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদেরকেই আহলে হাদীস বা আছহাবুল হাদীস বলা হয়। চাই সে হানাফী হোক বা শাফেয়ী , মালেকী অথবা হাম্বলী।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা যাকে লা-মাযহাবীরাও অনুসরণ করে থাকে , তিনি বলেন,
শুধু মাত্র হাদীস শ্রবণ, লিখন অথবা বর্ণনায় সীমাবদ্ধ ব্যক্তিদেরকেই “আহলে হাদীস” বলা হয় না; বরং আমাদের নিকট “ আহলে হাদীস” বলতে ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের বুঝায় যারা হাদীস সংরক্ষণ , পর্যবেক্ষণ, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অর্থ অনুধাবন করার যোগ্যতা সম্পন্ন এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অর্থের অনুসারী হবে।” { নাক্বদুল মানতিক, পৃ. ১৮ কায়রো থেকে প্রকাশ ১৯৫১ইং}